সিবিএন
দেশে প্রবাহমান নদীগুলোর নাব্যতা হারানোর কারণে নৌ-দুর্ঘটনার পরিমাণ বাড়ছে। দুর্ঘটনা রোধ করতে নদীর ড্রেজিং ও চালকদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে হবে।
নৌ-নিরাপত্ত্বা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে শহরের পাবলিক লাইব্রেরী মাঠেট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) এর আলোচনা সভায় বক্তারা এ অভিমত জানান।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী মোঃ আবদুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতা রাখেন, স্পেশাল অফিসার, মেরিন সেফটি ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বদরুল হাসান মিটন, সদর মডেল থানার ওসি মোঃ আসলাম হোসেন।
সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহবায়ক ও টুয়াক ফাউন্ডার কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হাসিব বাদল।
টুয়াকের ফাউন্ডার মেম্বার ও সভার পৃষ্টপোষক তোফায়েল আহমেদের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও টুয়াকের প্রধান সমন্বয়ক মফিজুর রহমান মফিজ, ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট এস. এম কিবরিয়া খান, জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব ছৈয়দুল হক কোম্পানী, টুয়াকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাফ উদ দৌল্লাহ আশেক প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালের ২৩ মে চাঁদপুরে একটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৩০০ যাত্রী মারা যায়। সেই সময় থেকে নৌ-নিরাপত্ত্বার দাবী ওঠে। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে অন্তত ৪৭টি জেলার ৭৫ সড়কে অন্তত ২০ হাজার নৌ-যান চলাচল করে।
এসব এলাকায় কোন না কোনভাবে নৌ-দুর্ঘটনা ঘটছে। এর প্রধাণ কারণ নাব্যতা সংকট। দুর্ঘটনারোধে শীঘ্রই নদী খনন ব্যবস্থা করতে হবে।
দুর্ঘটনার কারণে হিসেবে বক্তারা বলেন, অধিকাংশই ফিটনেসবিহীন নৌ-যান, নকশার সাথে বাস্তবতার অমিল, দক্ষ নৌ-চালক অভাব এবং দুর্যোগকালীন সময় সংকেত মানা হয় না।
আলোচনা সভায় টুয়াকের প্রধান সমন্বয়ক মফিজুর রহমান মফিজ বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের ২৫ নটিকেল মাইল অতিক্রম করে প্রবাল দ্বীপে যাচ্ছে পর্যটকেরা। সাগর পথে অনেক ঝুঁকি রয়েছে। এ পথে গভীরতা সুচক চিহ্ন ‘বয়া’ স্থাপনের জন্য বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ইউনাইটেড গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করে ব্যক্তিগত ব্যবসার জেটি নির্মাণ করায় নৌ-পথের পর্যটক ও যাত্রী হয়রানী বাড়ছে। সেন্টমার্টিনের জেটিটিও অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের নজর দেয়ার আহবান জানান মুফিজুর রহমান।
সভার আগে নৌ-নিরাপত্ত্বা সপ্তাহ-২০১৭ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহরের প্রধান সড়ক ঘুরে পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে পৌঁছে শেষ হয়।